সিলেটে স্কুল ছাত্র সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন, রবিবার যুক্তিতর্ক
সিলেটে ৯ বছরের শিশু স্কুল ছাত্র আবু সাঈদকে অপহরণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরো ৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি আব্দুল মালেক জানান, বৃহস্পতিবার আদালতে কোতোয়ালী থানার এসআই তারেক মাসুদ, এসআই মোশারফ হোসেন ও কনস্টেবল দেলোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭ জনের মাঝে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তিনি জানান, সাক্ষ্যগ্রহণের পর সাক্ষীদের জেরা শেষে বিচারক ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা করেছেন। আগামী রবিবার এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে। এর আগে গতকাল বুধবার আদালতে সাক্ষ্য দেন ৩ জন। গত মঙ্গলবার ৪ জন, গত সোমবার ৭ জন, গত রবিবার ৬ জন এবং গত ১৯ নভেম্বর ৫ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত ১৭ নভেম্বর সাঈদ অপহরণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করেন। ওই ৪ জন হচ্ছেন নগরীর বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহিব হোসেন মাসুম। এরা সবাই কারান্তরীণ রয়েছেন। চলতি বছরের ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় বিমানবন্দর থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।