১৫৯ অভিবাসীর দেশে ফেরা হল না
জিটিবি নিউজ ডেস্ক : সমুদ্রপথে ট্রলারে করে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় মিয়ানমারে উদ্ধার হওয়া আরও ১৫৯ জন বাংলাদেশির দেশে ফেরা আবার আটকে গেছে। গতকাল বুধবার তাঁদের দেশে ফেরার কথা ছিল। মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারণে অভিবাসী হস্তান্তর প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে এই ১৫৯ জন অভিবাসীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল। এর আগে গত ৩০ জুলাই তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু তখন ঘূর্ণিঝড় কোমেনের কারণে তা স্থগিত রাখা হয়।
কক্সবাজার ১৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গতকাল সকাল ১০টার দিকে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ঘুমধুম সীমান্তের মৈত্রী সেতু দিয়ে মিয়ানমারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সেদেশে ভয়াবহ বন্যা ও ভারি বর্ষণের কারণে এই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম এবং পতাকা বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সুবিধাজনক সময়ে অভিবাসীদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন, গতকাল সকাল থেকে কক্সবাজারেও বৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত অতিক্রম করে বিপুলসংখ্যক অভিবাসীকে বাংলাদেশের ঘুমধুম সীমান্তে নিয়ে আসা এবং সেখান থেকে তাঁদের বাসে করে কক্সবাজার শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নিয়ে আসা কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশ জানায়, ১৫৯ জন অভিবাসীর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ১২ জন, কিশোরগঞ্জের ১৩ জন, চট্টগ্রামের ১৮ জন, ফরিদপুরের ১২ জন, হবিগঞ্জের ১৭ জন, নরসিংদীর ৮০ জন, নওগাঁর দুজন, নাটোরের একজন, শরিয়তপুরের তিনজন ও বরিশালের একজন। তাঁরা এখন মিয়ানমারের মংডু জেলার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২২ জুলাই মিয়ানমার থেকে তৃতীয় দফায় ১৫৫ জন অভিবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এর আগে ১৯ জুন দ্বিতীয় দফায় ৩৭ জন ও ৮ জুন প্রথম দফায় ১৫০ জন অভিবাসীকে দেশে ফিরে আসেন।