শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
নোটিশ:
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। * অফিসের ঠিকানাঃ জিএস ভবন, আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠের পশ্চিমে, শেরপুর রোড, সাতমাথা, বগুড়া। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৪২৭৩১৬ ইমেইলঃ jonotatv.com@gmail.com * এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

গোয়ালন্দে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

Reporter Name / ২৮ Time View
Update : রবিবার, ২ আগস্ট, ২০১৫

রাজবাড়ী সংবাদদাতা : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় এক মাদরাসা ছাত্রী শনিবার গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় মো. শওকত খান (১৮) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ৩০ জুলাই গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা পর করার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করে। ওই ছাত্রী তার এক বান্ধবীর বড় ভাই লিটন শেখের কাছে বই রাখতে দিয়ে সেও মিছিলে যোগ দেয়।

কিন্তু আনন্দ মিছিল থেকে ফিরে বই না এনে বাড়িতে চলে যায়। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সে বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়ে বই আনতে ওই বান্ধবীর বাড়িতে যায়। এ সময় বান্ধবীর বাড়ির সামনে লিটনের সঙ্গে দেখা হয়। লিটন তাকে বইয়ের জন্য বাড়ির সামনেই অপেক্ষা করতে বলে। বই দেওয়ার কথা বলে লিটন তাকে বাড়ির পাশের একটি জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে লিটনের বন্ধু শওকত, কাওছার ও রাজিব আগে থেকেই ছিল।

ওই জায়গায় যাওয়া মাত্রই লিটন ও তার তিন বন্ধু মিলে তাকে পাশের পাট খেতে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এরপর তাকে ফেলে তারা চলে যায়। পরে এক কৃষক তাকে উদ্ধার করেন।
ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দার ভাষ্য, ঘটনার পর শনিবার দুপুরের দিকে পাট খেতে কয়েকজনের নড়াচড়ার শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তাঁরা শওকতকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রী ও শওকতকে থানায় নিয়ে আসে।
গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি একেএম নাসির উল্যাহ বলেন, শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে লিটন, শওকত, কাওছার ও রাজিবকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। গতকাল রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। শওকতকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাজবাড়ীর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর