ধুনটে বিয়ের প্রলোভনে গৃহবঁধুকে তিন বছর যাবত ধর্ষন
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনটের পল্লীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক সন্তানের জননী এক গৃহবঁধুকে তিন বছর যাবত ধর্ষন করেছে লম্পট প্রেমিক। এঘটনায় নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবিতে ওই গৃহবঁধু লম্পট প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামে।জানাযায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ছাতিয়ানী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে দিনমজুর শহীর আলীর সাথে রান্ডিলা গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে আমেনা খাতুনের (২৬) গত ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়। আমেনা খাতুনের স্বামী জীবিকার সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুরের কাজ করে। এই সুযোগে প্রতিবেশি যুবক ছাতিয়ানী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩২) ওই গৃহবঁধুকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে ওই গৃহবঁধুকে রাজি না হওয়ায় লম্পট হাফিজুর রহমান তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভিতি দেখায়। একপর্যায়ে হাফিজুরের সাথে আমিনার পরোকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাফিজুর তাকে তিন বছর যাবত ধর্ষন করতে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি বিষয়টি আমিনার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন জানতে পেরে তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এতে নিরুপায় হয়ে গত সোমবার সন্ধায় আমিনা খাতুন বিয়ের দাবিতে সন্তানকে নিয়ে লম্পট প্রেমিক হাফিজুরের বাড়ীতে অবস্থান নেয়। এবিষয়ে স্থানীয় মাতব্বরগণ শালিশী বৈঠক করলেও বিষয়টি নিয়ে কোন সুরহা করতে পারেননি তারা। আমিনা খাতুন জানায়, আমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিন বছর যাবত ধর্ষন করেছে হাফিজুর। কিন্তু সে বর্তমানে বিয়ে করতে অসম্মতি জানিয়েছে। তবে বিয়ে না হলে প্রেমিকের বাড়ীতেই আত্বহত্যা করবেন জানায় আমিনা।
স্থানীয় মাতব্বর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান আহমেদ জেমস্ মল্লিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার উভয়পক্ষের মাতব্বদের সাথে নিয়ে বৈঠক বসা হয়েছিল। কিন্তু এবিষয়ে কোন সুরহা হয়নি। তাই তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান পিপিএম জানান, এঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে