দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তিতে ইরানের স্বাক্ষর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ছয় জাতির সঙ্গে দেন দরবারের পর মঙ্গলবার পরমাণু কর্মসূচির ওপর একটি ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছেছে ইরান। চুক্তি অনুযায়ী পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করবে ইরান। বিনিময়ে তেহরানের ওপর আরোপিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার লক্ষ্যে এক দশক ধরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলা করছে দেশটি। এতে তেল উৎপাদনকারী তেহরানের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। অজ্ঞাতনামা এক পশ্চিমা এবং ইরানি কূটনীতিকের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পশ্চিমা কর্মকর্তা বলেছেন, অবশেষে সকল বাধা দূর হয়েছে। অন্যদিকে এক ইরানি কূটনীতিক জানিয়েছেন, সকল কঠিন বাধা অতিক্রম করে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। আল্লাহ আমাদের জণগণের মঙ্গল করুন। মঙ্গলবার বিকেলে দিকে ভিয়েনার জাতিসংঘ দপ্তরে ছয় জাতি এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চুক্তির ওপর এক সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।সেখানে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এবং ইইউ’র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি যৌথ বিবৃতি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে গত ২ এপ্রিল এ নিয়ে একটি খসড়া চুক্তি সাক্ষর করেছিল দু পক্ষ। চুক্তিতে ইরানের সবক’টি স্থাপণায় জাতিসংঘ পরিদর্শকদের পর্যবেক্ষণের অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছিল।
এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছুতে গত মাসে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আলোচনায় বসেন ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বেশ কিছু ইস্যুতে মতদ্বৈততা থাকায় দুই দফায় বৈঠকের মেয়াদ বাড়ানো হয়। অন্যান্য বিষয়গুলি সমঝোতায় এলেও ইরানের দাবি, তাদের ওপর থেকে জাতিসংঘের আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিতে হবে।
তবে পশ্চিমারা এ ব্যাপারে ছাড় না দিতে কঠোর অবস্থান নেয়। ৭ জুলাই দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সীমা শেষ হয়ে গেলে আলোচনার সময় শুক্রবার পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। শুক্রবারও কোনো সমঝোতায় পৌছতে না পারায় এটি মঙ্গলবার পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।