শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
নোটিশ:
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। * অফিসের ঠিকানাঃ জিএস ভবন, আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠের পশ্চিমে, শেরপুর রোড, সাতমাথা, বগুড়া। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৪২৭৩১৬ ইমেইলঃ jonotatv.com@gmail.com * এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।

হাইকোর্টে খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন ব্রাজিল থেকে আমদানি গম খাবার উপযোগী-কেল্লাফতে !

Reporter Name / ২৪ Time View
Update : রবিবার, ৫ জুলাই, ২০১৫

জিটিবি নিউজ ডেস্ক ঃ ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম খাবারের উপযোগী বলে দাবি করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিয়েছে খাদ্য অধিদফতর। আগামি বুধবার এ বিষয়ে দায়ের করা রিট আবেদনের আদেশের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল রোববার এ দিন ধার্য করেন বিচারপতি কাজি রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই আদালত গত মঙ্গলবার একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম খাবারের উপযোগী কি-না তা পরীা করে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।সেই নির্দেশের প্রেেিত খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ফয়েজ আহমেদ গতকাল রোববার প্রতিবেদন জমা দেন। লিখিত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, খাদ্য অধিদফতরের পরীাগারসহ বিভিন্ন পরীাগার থেকে প্রাপ্ত সকল রিপোর্ট মোতাবেক ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত আলোচ্য গম চুক্তিপত্রে উল্লেখিত বিনির্দেশ মোতাবেক গ্রহণীয় সীমার মধ্যে থাকায় মানুষের খাওয়ার উপযোগী বলে প্রত্যয়ন করা হলো।রাষ্ট্রপে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস এ প্রতিবেদন আদালতে উত্থাপন করেন। পরে রিট আবেদনের পরে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রতিবেদনের বিষয়ে শুনানি করতে চাইলে বুধবার শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য করেন আদালত। ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের মান নিয়ে অভিযোগ ওঠার মুখে গত ২৮ জুন তদন্ত চেয়ে রিটটি করেন আইনজীবী পাভেল মিয়া।রিটে বিবাদী করা হয়েছে, খাদ্য সচিব, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ স্টান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে। রিট আবেদনে গম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের মান নিয়ে খাদ্য অধিদফতর থেকে আপত্তি তোলা হয়েছিল। ব্রাজিলের কৃষি মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো বিভাগ এর মান নিয়ে কোনো সনদ দেয়নি। বন্দরে অবস্থানকারী খাদ্য অধিদফতরের রসায়নবিদেরা এই গমের বেশ কয়েকটি চালানকে ‘বি’ ক্যাটাগরির বা মাঝারি থেকে নিম্নমানের হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।
এসব জেনেও খাদ্য অধিদফতরের তৎকালীন মহাপরিচালক সারোয়ার খান চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ওই গমের ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দেন। অধিদফতরের আমদানি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতামত, চিঠি ও পর্যালোচনা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এই গম আইন-শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর রেশন হিসেবে সরবরাহের পর এর মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুলিশের সব বিভাগীয় কার্যালয় এই গমকে নিম্নমানের এবং খাওয়ার অযোগ্য হিসেবে বর্ণনা করে একাধিকবার চিঠি দেয়। তার পরও খাদ্য মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই বারবার বলছে, এই গম অখাদ্য নয়। খাদ্যমন্ত্রী জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যেও তাই বলেছেন। গত বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একই কথা বলেছে।
ব্রাজিল থেকে গম নিয়ে ‘এমভি স্যাম উলভ’ নামের একটি জাহাজ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরে এলে বন্দর কর্তৃপ চুক্তি অনুযায়ী অনুমতিপত্র ও নথি দেখতে চায়। তৎকালীন মহাপরিচালক ওই গম খালাসের জন্য অনুমতি দিতে বললে খাদ্য অধিদফতরের একজন অতিরিক্ত মহাপরিচালক লিখিতভাবে বলেন, ব্রাজিলের কৃষি মন্ত্রণালয় ও বণিক সমিতি রফতানিকৃত গমের নিশ্চয়তাপত্র দেয় না। তাই এই গম খালাস করার সুযোগ না দেওয়ার পে মতো দেন তিনি।


এই বিভাগের আরো খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর